হ্যাকিং শিখতে হলে যা জানা দরকার।


Hacking

Hello guys its me again.
অনেকেই
হ্যাকিং শিখতে গিয়ে হোচট খান.
কিভাবে , কোথায় এবং কোন
জায়গা থেকে শুরু করবেন তা ই ঠিক
করতে পারেন না তাই আপনাদের জন্য
এক্টু গাইডলাইন দিলাম .
=>The 5 Most Basic Methods to
Start Learning Hacking
1. Learn TCP/IP, HTTP and HTTP
Proxies.
2. Learn HTML, PHP, JavaScript,
Python and C++
3. Learn Web Application Arch.
& OWASP Top 10 Vul.
4. Learn Common Attacks,
Flaws, Bugs and Exploits.
5. Work with Linux, & Try to
Understand How System
Works.
উপরোক্ত
কাজগুলো ছাড়া হ্যাকিং চিন্তা করতে পারবেন
না ।আর যারা এখনই ভয় পাচ্ছেন
তারা দূরে থাকুন । আল্লাহ প্রদত্ত
মেধাকে কাজে লাগান , কঠোর
পরিশ্রম করুন ।
copyed

জাতীয় পরিচয়পত্র (ভোটারআইডি)হারালে বা সংশোধনকরতে চাইলে কি করণীয়?


যদি কারও জাতীয়
পরিচয়পত্র হারিয়ে যায়
পুনরায়
আরেকটি পেতে হলে:

প্রথমে স্থানীয়
বা নিকটবর্তী থানায়
সাধারণ ডায়েরি (জিডি)
করতে হবে।
পরে তাঁকে প্রকল্প
পরিচালক, পিইআরপি,
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়
বরাবর আবেদন করতে হবে।
প্রকল্প অফিস ছাড়াও
নির্দিষ্ট
উপজেলা বা জেলা নির্বাচন
কমিশন কর্মকর্তার
কার্যালয়ে আবেদন
করা যাবে।
আবেদন
পত্রে আবেদনকারীর নাম ও
ভোটার নাম্বার উল্লেখ
করতে হবে।
ভোটার নাম্বার
জানা না থাকলে জেলা বা উপজেলা নির্বাচন
কার্যালয়ে পাওয়া যাবে।
ডায়েরির কপি, পূরণকৃত
আবেদনপত্র
(নিজে স্বাক্ষরিত),
যোগাযোগের ঠিকানা ও
ফোন নম্বরসহ
আবেদনপত্রটি সরাসরি প্রকল্প
পরিচালকের কার্যালয়
বা জেলা/
উপজেলা নির্বাচন কমিশন
কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
জমা দেওয়ার দিন
সংশ্লিষ্ট কার্যালয়
থেকে প্রাপ্তি রসিদ
(হারানো) দেবে এবং ওই
রসিদ নিয়ে নির্ধারিত
তারিখে আপনি আপনার
পরিচয়পত্র হাতে পাবেন।
সংশোধন করতে চাইলে:
সংশোধনি দুই ধরনের:
[ 1] ছাপাকৃত ভূল।
[ 2] তথ্য পরিবর্তন।
এ জন্য আবেদন করতে হয়
প্রকল্প পরিচালক বরাবর।
নির্ধারিত আবেদন ফরম
সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন
অফিসে পাওয়া যায়।
সংগৃহীত
আবেদনপত্রটিতে পরিচয়পত্র
নম্বর, ভুল তথ্য ও সংশোধিত
তথ্য উল্লেখ করার জন্য
নির্ধারিত ঘর রয়েছে।
আবেদনপত্রের
নিচে স্বাক্ষর, নাম,
ঠিকানা ও ফোন নম্বর
লিখতে হবে। আবেদনপত্রের
আগের ভুল তথ্যসংবলিত
ভোটার
পরিচয়পত্রটি সংযুক্ত
করে দিতে হবে। কারণ
কমিশন আপনাকে নতুন
করে পরিচয়পত্র প্রদান করবে।
তথ্য পরিবর্তনের জন্য
আপনাকে আবেদনপত্রের
সঙ্গে সংশোধিত তথ্যের
পক্ষে প্রামাণিক দলিল
দিতে হবে।
আপনাকে আবেদনপত্রের
সঙ্গে সংশোধিত তথ্যের
পক্ষে প্রামাণিক দলিল
দিতে হবে।
আরো তথ্য
জানতে হলে যোগাযোগ
করতে হবে ছবিসহ ভোটার
তালিকা প্রণয়ন
এবং জাতীয় পরিচয়পত্র
প্রদানে সহায়তা প্রদান
প্রকল্পের আগারগাঁওয়ের
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
ভবনের সপ্তম তলার
কার্যালয়ে।
প্রকল্পের কেন্দ্রীয়
নিয়ন্ত্রণকক্ষের টেলিফোন
নম্বর : ৮১৫০৮৪৬ (উপপরিচালক),
৯১১৬৯৭১, ০১৭৩০০২০৫১৩,
০১৭৩০০২০৫১৫।

Facebook ব্যবহার করবেন আর Facebook এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে জনবেন না এ কেমন কথা।

ফেসবুক (ইংরেজি: Facebook) বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে নিখরচায় সদস্য হওয়া যায়। এর মালিক হলো ফেসবুক ইনক। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানাশোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে।
মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তার কক্ষনিবাসী ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্‌স এবং ক্রিস হিউজেসের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক নির্মাণ করেন। ওয়েবসাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। আরো পরে এটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাই স্কুল এবং ১৩ বছর বা ততোধিক বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সারাবিশ্বে বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন ৩০০ মিলিয়ন কার্যকরী সদস্য।
ফেসবুক তার চলার পথে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে। সিরিয়া, চায়না এবং ইরান সহ বেশ কয়েকটি দেশে এটা আংশিকভাবে কার্যকর আছে। এটার ব্যবহার সময় অপচয় ব্যাখ্যা দিয়ে কর্মচারীদের নিরুৎসাহিত করে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফেসবুক ওয়েবসাইট কে আইন জটিলতায় পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকবার জুকেরবার্গের সহপাঠী কর্তৃক, তারা অভিযোগ এনেছেন যে ফেসবুক তাদের সোর্স কোড এবং অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে।

ইতিহাস

মার্ক জাকারবার্গ, হার্ভার্ড এ তার ২য় বর্ষ চলাকালীন সময়ে, অক্টবার ২৮, ২০০৩ এ তৈরি করেন ফেসবুকের পূর্বসূরি সাইট ফেসম্যাস। এতে তিনি হার্ভার্ডের ৯ টি হাউস এর শিক্ষার্থীদের ছবি ব্যাবহার করেন। তিনি দুইটি করে ছবি পাশাপাশি দেখান এবং হার্ভার্ডের সব শিক্ষারথিদের ভোট দিতে বলেন। কোন ছবিটি হট আর কোনটি হট নয়। 'হট অর নট'। এজন্য মার্ক জুকারবার্গ হার্ভার্ডের সংরক্ষিত তথ্য কেন্দ্রে অনুপ্রবেশ বা হ্যাঁক করেন। ফেসম্যাস সাইট এ মাত্র ৪ ঘণ্টায় ৪৫০ ভিজিটর ২২০০০ ছবিতে অন লাইন এর মাধ্যমে ভোট দেন।
  • ২০০৪: ফেসম্যাস হতে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০৪ এর জানুয়ারিতে মার্ক তার নতুন সাইট এর কোড লেখা শুরু করেন এবং ফেব্রুয়ারিতে হার্ভার্ডের ডরমিটরিতে দিফেসবুক.কম এর উদ্বোধন করেন। শিঘ্রই মার্ক জাকারবার্গ এর সাথে যোগ দেন ডাস্টিন মস্কোভিৎজ (প্রোগ্রামার), ক্রিস হুগেস ও এডোয়ার্ডো স্যাভেরিন (ব্যবসায়িক মুখপাত্রও) এবং অ্যান্ডরু ম্যাককলাম (গ্রাফিক্ আর্টিস্ট)। জুনে প্যালো আল্টোতে অফিস নেওয়া হয়। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছায়।
  • ২০০৫: আগস্টে ‘দ্য ফেসবুক ডটকম’ নাম পাল্টে কোম্পানির নাম রাখা হয় শুধু ‘ফেসবুক’। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৫ লাখ।
  • ২০০৬: কৌশলগত কারণে আগস্টে ফেসবুকের সঙ্গে মাইক্রোসফট সম্পর্ক স্থাপন করে। সেপ্টেম্বর থেকে সর্বসাধারণের জন্য ফেসবুক উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আগে শুধু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই ছিলেন এর ব্যবহারকারী। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটি ২০ লাখে।
  • ২০০৭: ফেব্রুয়ারিতে ভার্চুয়াল গিফট শপ চালু হয়। এপ্রিলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছায় দুই কোটি।
  • ২০০৮: কানাডা ও ব্রিটেনের পর ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স ও স্পেনে ফেসবুকের ব্যবহার শুরু হয়। এপ্রিলে ফেসবুক চ্যাট চালু হয়। আগস্টে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ কোটিতে।
  • ২০০৯: জানুয়ারিতে ব্যবহারকারী ১৫ কোটি। ডিসেম্বরে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৫ কোটিতে।
  • ২০১০: ফেব্রুয়ারিতে যে সংখ্যা ছিল ৪০ কোটি, জুলাইয়ে সেই সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। আর ডিসেম্বরে এ সংখ্যা ৫৫ কোটি।

মালিকানা

২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী ফেসবুকের মালিকানা নিম্নরূপ: মার্ক জাকারবার্গ: ২৮%,[৮] এক্সেল পার্টনার্স: ১০%, ডিজিটাল স্কাই টেকনোলোজিস: ১০%,[৯] ডাস্টিন মস্কোভিটজ: ৬%, এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন: ৫%, শণ পার্কার: ৪%, পিটার থিয়েল: ৩%, গ্রেলক পার্টনার্স এবং মেরিটেক ক্যাপিটাল পার্টনার্স: ১ থেকে ২% প্রত্যেকে, মাইক্রোসফট: ১.৫%, লি কা-শিং: ০.৮%, ইন্টারপাবলিক গ্রুপ: ০.৫ এর কম, বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মচারি এবং বিভিন্ন তারকা (নাম অপ্রকাশিত): প্রত্যেকে ১% এর কম এবং বাঁকি ৩০% বিভিন্ন কর্মচারি ও অপ্রকাশিত তারকাদের মালিকানাধীনে রয়েছে।[১০]
২০০৮ সালের মে মাসে ফেসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা এবং মার্ক জাকারবার্গের বন্ধু অ্যাডাম ডি’অ্যাঞ্জেলো পদত্যাগ করেন। প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল, এবং তিনি এই কোম্পানির আংশিক মালিকানার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।[১১]
প্রধান পরিচালনার কর্মিবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন ক্রিস কক্স (ভাইস প্রেসিডেন্ট), শেরিল স্যান্ডবার্গ (প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা), মার্ক জাকারবার্গ (চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা)। ২০১১ সালের এপ্রিল অনুযায়ী, ফেসবুকের প্রায় ২,০০০ জন কর্মচারি রয়েছে এবং তাদের দপ্তর রয়েছে ১৫টি দেশে।[১২]

হ্যাকার সম্পর্কে জানুন

 

  হ্যাকার (কম্পিউটার নিরাপত্তা)

 

হ্যাকার হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যিনি নিরাপত্তা/অনিরাপত্তার সাথে জড়িত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বল দিক খুঁজে বের করায় বিশেষভাবে দক্ষ অথবা অন্য কম্পিউটার ব্যবস্থায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম বা এর সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের অধিকারী। সাধারনভাবে হ্যাকার শব্দটি কালো-টুপি হ্যাকার অর্থেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় যারা মূলত ধ্বংসমূলক বা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে থাকেন। এছাড়া আরো নৈতিক হ্যাকার রয়েছেন (যারা সাধারনভাবে সাদা টুপি হ্যাকার নামে পরিচিত) এবং নৈতিকতা সম্পর্কে অপরিষ্কার হ্যাকার আছেন যাদের ধুসর টুপি হ্যাকার বলে। এদের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য প্রায়শ ক্র্যাকার শব্দটি ব্যবহার করা হয়, যা কম্পিউটার নিরাপত্তা হ্যাকার থেকে একাডেমিক বিষয়ের হ্যাকার থেকে আলাদা করার জন্য ব্যবহার করা হয় অথবা অসাধু হ্যাকার (কালো টুপি হ্যাকার) থেকে নৈতিক হ্যাকারের (সাদা টুপি হ্যাকার) পার্থক্য বুঝাতে ব্যবহৃত হয়।
(হলুদ টুপি হ্যাকার) : যারা হ্যাক করবে বলে ভাবে স্বপ্ন দেখে যে তারা হ্যাক করে ফেলেছে তাদের বলা হয় হলুদ টুপি হ্যাকার ।সাধারনত এদের স্বপ্ন বাস্তবে রুপান্তর হয় না ।

আসুন আজ একজন হ্যাকারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।

কেভিন মিটনিক

 

কেভিন ডেভিড মিটনিক (জন্মঃ ৬ আগস্ট, ১৯৬৩) একজন আমেরিকান কম্পিউটার নিরাপত্তা কনসালট্যান্ট, লেখক, সাজাপ্রাপ্ত সাইবার অপরাধী এবং হ্যাকার। তাকে বিভিন্ন সময় কম্পিউটার এবং যোগাযোগ-সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যখন মিটনিক পুলিশের হাতে ধরা পড়েন, তখন তিনিই ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার-সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হ্যাকার[১][২] ইকুয়েডরের ২০১৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিটনিককে নির্বাচনের সমস্ত তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ‘নেট লকের’ কম্পিউটার সিস্টেমের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়।[৩] কেভিন মিটনিককে বলা হয় ‘ফাদার অফ অল হ্যাকার’। তার বিচিত্র জীবনকে ভিত্তীকরে দুটি চলচ্চিত্র-ও তৈরী হয়।

 

ব্যক্তিগত জীবন

মিটনিকের জন্ম লস এঞ্জেলেস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সেখানে তিনি মনরো উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন।[৪] এছাড়া তিনি লস এঞ্জেলেস পিয়ার্সি কলেজ ইউএসসি-তেও নথিভুক্ত ছিলেন।[৪] তিনি ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালোলিনার ছাত্র ছিলেন। কিছুদিন তিনি ‘স্টিফেন এস. ওয়াইস’ নামে একটি মন্দিরে রিসিপশনিস্টের কাজও করেন।[৪] বর্তমানে তিনি নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘মিটনিক সিক্যুরিটি কনসাল্টিং ফার্ম’ এর একজন সিক্যুরিটি কনসালটেন্ট, যাদের কাজ কোন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ত্রুটি খুজে বের করা এবং ঠিক করে দেওয়া।

হ্যাকিং

মাত্র ১২ বছর বয়সে হ্যাকিং এর ভূবনে পদার্পন করেন মিটনিক। তার হ্যাকিং জীবন শুরু হয় ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ ব্যবহার করে লস এঞ্জেলসের বাসে পাঞ্চ কার্ড হ্যাকিং এর মাধ্যমে। যাতে অনায়েসে ফ্রী রাইড করা যেত।[২][৫] প্রথমে টুকটাক হ্যাকিং করলেও সিরিয়াসলি হ্যাকিং শুরু করেন ১৯৮৩ সালের দিকে। সে সময়ে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালোলিনার ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ইন্টারনেটে বন্ধুর কাছ থেকে ফোন নাম্বার পেয়ে আরপানেটে অ্যাকসেস পেয়ে যায় মিটনিক আর আরপানেট যেহেতু মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের একটি নেটওয়ার্ক ছিল সেহেতু মন্ত্রনালয়ের সকল স্পর্শকাতর ফাইল দেখার সুযোগ পেয়ে যান কেভিন মিটনিক।
এরপর মটোরোলা, নকিয়া, ফুজিৎসুর মতো বড় প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার হ্যাক করেছিলেন।[২][৩] তার হ্যাকিং বিদ্যার জন্য তাকে গ্লেন কেজ উপাধি দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার, দোষী সাব্যস্ত এবং শাস্তি

এফবিআই ১৯৯৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিটনিককে তার রালেগ, নর্থ ক্যারোলাইনার এপার্টমেন্ট থেকে গ্রেফতার করে।[৬] তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়েছিলো তা হল, লস এঞ্জেলেস এর বাস সিস্টেম হ্যাকিং করে ফ্রী ভ্রমণ, ডিআসি সিস্টেম হ্যাকিং যার কারনে তাদের ১৬০০০০ ডলার ক্ষতি হয়েছিলো, মটোরোলা, নকিয়া, ফুজিৎসুর মতো বড় প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম হ্যাকিং, এফবিআই এর সিস্টেমে হ্যাকিং এর চেষ্টা, আইবিএম এর মাইক্রোকম্পিউটার প্রজেক্টে এ্যাটাক ইত্যাদি এছাড়া শত শত নেটওয়ার্ক হ্যাকিংয়ের চেষ্টা, ফ্রী কল করার হ্যাকিং, বিভিন্ন মেইল সিস্টেম হ্যাকিং চেষ্টার শত শত অভিযোগ ছিল তবে তা প্রমাণ করা যায় নি।
১৯৮৮ সালে ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট সিস্টেম (ডিইসি) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট হ্যাক করায় তিনি এক বছর জেল খাটেন। তবে তখন হ্যাকার না ভেবে চুরির মামলায় তাকে আসামী করা হয়। এরপর আর একটি হ্যাকিং এর ঘটনাতে তার এরেস্ট ওয়ারেন্টি ইস্যু হলে সে প্রায় আড়াই বছর পালাতক থাকেন। তাকে শাস্তি হিসেবে তার ৫ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয় এবং ২০০০ সালে কেভিন মুক্তি পান, তবে শর্ত ২০০৩ সালের আগে তিনি কোনো কম্পিউটার, সেল ফোন এবং ইন্টারনেটযুক্ত ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সিকিউরিটি কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।

মিডিয়া

মিটনিকের জীবনি নিয়ে ২০০০ সালে তৈরি হয় সিনেমা ‘ট্রেকডাউন’।[৭]


সূত্রঃ উইকিপিডিয়া।